ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহী নগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩২ পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় যুবককে হত্যা! রাজাবাড়িতে চলছে ফসলি জমি নিধনের উৎসব মান্দায় রাস্তার কার্পেটিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ রাজশাহীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-২০২৬ উপলক্ষে নির্বাচনী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আরও ৭ দেশ হাতাহাতি-চোলোচুলিতে জড়ালেন মেক্সিকোর আইনপ্রণেতারা ‘যদি সত্যিই মারা যাই, তাহলে এটি হবে গর্বের’, হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে চমক মুকুট হারালেন মিস ফিনল্যান্ড বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করে বিয়ের আগে ব্যাচেলর পার্টি করতে শ্রীলঙ্কায় রাশমিকা! নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দিল ছাত্র-জনতা ভিক্ষুকের ৯০০ টাকা ‘ছিনতাই’, অতঃপর... নাটোরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার বগুড়ায় আ. লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, জামায়াত প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র গ্রেপ্তার, না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিয়ের ২ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সহিংসতার শিকার ৯৬ শতাংশ নারী শনিবার দেশে আনা হবে সুদানে শহীদ সেনা সদস্যদের মৃতদেহ মান্দায় বাসের চাপায় কারারক্ষী নিহত নোয়াখালীতে গাড়ির গ্যারেজে ঝুলছিল চালকের মরদেহ জ্ঞানের শক্তিকে সততার সাথে ব্যবহার করতে হবে - শিক্ষা উপদেষ্টা

পাটক্ষেতে প্রেমিক যুগলকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বিচার

  • আপলোড সময় : ১৯-০৯-২০২৫ ০৪:২০:২৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৯-২০২৫ ০৪:২০:২৭ অপরাহ্ন
পাটক্ষেতে প্রেমিক যুগলকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বিচার পাটক্ষেতে প্রেমিক যুগলকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বিচার
কিছু গল্প হাসির আড়ালে গভীর এক বিষাদের ছাপ রেখে যায়। কোন এক গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তেমনই এক গল্প, যা আমাদের সমাজের বাস্তবতাকে আয়নার মতো দেখিয়ে দিয়েছে।

গ্রামের শেষের সেই পাটক্ষেত, যা হয়তো কারও কাছে কেবলই সবুজ এক চাদর, আজ তা এক অসমাপ্ত ও নিষিদ্ধ প্রেমের করুণ মঞ্চ হয়ে রইল। লোকচক্ষুর আড়ালে একটুখানি সময় কাটাতে চেয়েছিলেন একজন যুবক এবং একজন বিবাহিতা নারী। কিন্তু গ্রামের উৎসুক চোখের পাহারা এড়ানো যায়নি। যা হওয়ার তাই হলো দুজনকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে ফেলা হলো, আর খবর গেল গ্রামের মোড়ল-মাতব্বরের কাছে। শুরু হলো বিচার।

খুব সহজেই আমরা তাদের দিকে আঙুল তুলতে পারি। বলতে পারি, ছিঃ! কী অধঃপতন! কিন্তু ঘটনার গভীরে তাকালে কিছু প্রশ্নও উঠে আসে।

মহিলাটির ভাষ্য, তার স্বামী শহরে চাকরি করেন, মাসের পর মাস দেখা হয় না। একাকীত্ব, অবহেলা আর শূন্যতা তাকে হয়তো এই ভুল পথে ঠেলে দিয়েছে। তার চোখেমুখে ভয় বা লজ্জার ছাপ না থাকাটা কি তার নির্লজ্জতা, নাকি এক দীর্ঘ অবহেলার শিকার হতে হতে সব অনুভূতি মরে যাওয়ার চিহ্ন?

অন্যদিকে, গ্রামের বেকার যুবকদের এই "সচেতনতা" কি শুধুই সামাজিক দায়িত্ববোধ, নাকি অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার এক বিকৃত আনন্দ? গাছের সাথে বেঁধে বিচার বসিয়ে কি সব সমস্যার সমাধান হয়? সম্মানহানি করে কি সম্মান ফেরানো যায়?

এই ঘটনাটি শুধু একজন নারী বা পুরুষের ব্যক্তিগত ভুলের গল্প নয়, এটি আমাদের সমাজের গভীর অসুখের প্রতিচ্ছবি। যেখানে সম্পর্কের মাঝে তৈরি হচ্ছে দূরত্ব, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাড়ছে মানসিক শূন্যতা, আর সমাজ সেই সুযোগে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।

সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হবে হয়তো সেই নারীর দুটি নিষ্পাপ শিশু, যারা হয়তো বুঝবেই না তাদের মায়ের এক মুহূর্তের ভুলের শাস্তি সমাজ কেন এমন নির্মমভাবে দিচ্ছে।

আসুন, অন্যের বিচার করার আগে নিজের সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হই। সঙ্গীকে সময় দিই, তার একাকীত্ব বোঝার চেষ্টা করি। মনে রাখবেন, একটি ভুল হয়তো একটি সাজানো সংসার, কিছু নিষ্পাপ ভবিষ্যৎ আর একজন মানুষের আজীবনের সম্মানকে চুরমার করে দিতে পারে।

সম্মান অমূল্য, একবার হারালে তা ফিরে পাওয়া বড় কঠিন।
(ফেসবুক থেকে পাওয়া)।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় যুবককে হত্যা! রাজাবাড়িতে চলছে ফসলি জমি নিধনের উৎসব

পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় যুবককে হত্যা! রাজাবাড়িতে চলছে ফসলি জমি নিধনের উৎসব