ঢাকা , শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমি ওকে পুরুষ মনে করি না,' ফিরল পুরোনো যুদ্ধ, ভারতীয় তারকাকে একহাত আফ্রিদির খেলার ছলে সেই 'খেলা': যৌন প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিতে চলেছে এই দেশ? ভারত ও চীনকে আল্টিমেটাম দিয়ে চাপানো যাবে না: রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ‘কম বয়সী পুরুষের সঙ্গে প্রেম করতে আপত্তি নেই, বিয়েতেও অরাজি নই’ আমিশা প্যাটেল টাইগার শ্রফ ও দিশা পাটানি মধ্যে বন্ধুত্ব ছাড়া কোন সম্পর্ক নেই সাঁতার শিখতে গিয়ে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু নরসিংদীতে গৃহবধূকে গুলি করে হত্যা রহনপুরে মাদকদ্রব্য সহ ২ জনকে আটক করে পুলিশে দিলো ঐক্য পরিষদ কমিটির সদস্যরা সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কবলে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর রাকসু নির্বাচন: গানে, গম্ভীরায় ও সৃজনশীল লিফলেটে জমজমাট ক্যাম্পাস রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাজশাহীতে অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ নেতার ছবি ভাইরাল, রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় জুলাই জাতীয় সনদ-সহ ৫দফা দাবিতে রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ভোলার রিজার্ভ পুকুর থেকে এক শিশুর ভাসমান উদ্ধার তানোরে কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ স্ত্রী ভাড়া পাওয়া যায় যে দেশে মহিলাদের বলতেন ‘টাটকা মাংস’, পদের জোরে পাঁচ বছর ধরে যৌন হেনস্থা হাসপাতালের সহকর্মীদের ওষুধের দোকানে মদ বিক্রি, আটক ৩ সেই দুই নেতার বিরুদ্ধে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার মামলা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম, দুই মাদ্রাসা শিক্ষক বরখাস্ত

পাটক্ষেতে প্রেমিক যুগলকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বিচার

  • আপলোড সময় : ১৯-০৯-২০২৫ ০৪:২০:২৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৯-২০২৫ ০৪:২০:২৭ অপরাহ্ন
পাটক্ষেতে প্রেমিক যুগলকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বিচার পাটক্ষেতে প্রেমিক যুগলকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বিচার
কিছু গল্প হাসির আড়ালে গভীর এক বিষাদের ছাপ রেখে যায়। কোন এক গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তেমনই এক গল্প, যা আমাদের সমাজের বাস্তবতাকে আয়নার মতো দেখিয়ে দিয়েছে।

গ্রামের শেষের সেই পাটক্ষেত, যা হয়তো কারও কাছে কেবলই সবুজ এক চাদর, আজ তা এক অসমাপ্ত ও নিষিদ্ধ প্রেমের করুণ মঞ্চ হয়ে রইল। লোকচক্ষুর আড়ালে একটুখানি সময় কাটাতে চেয়েছিলেন একজন যুবক এবং একজন বিবাহিতা নারী। কিন্তু গ্রামের উৎসুক চোখের পাহারা এড়ানো যায়নি। যা হওয়ার তাই হলো দুজনকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে ফেলা হলো, আর খবর গেল গ্রামের মোড়ল-মাতব্বরের কাছে। শুরু হলো বিচার।

খুব সহজেই আমরা তাদের দিকে আঙুল তুলতে পারি। বলতে পারি, ছিঃ! কী অধঃপতন! কিন্তু ঘটনার গভীরে তাকালে কিছু প্রশ্নও উঠে আসে।

মহিলাটির ভাষ্য, তার স্বামী শহরে চাকরি করেন, মাসের পর মাস দেখা হয় না। একাকীত্ব, অবহেলা আর শূন্যতা তাকে হয়তো এই ভুল পথে ঠেলে দিয়েছে। তার চোখেমুখে ভয় বা লজ্জার ছাপ না থাকাটা কি তার নির্লজ্জতা, নাকি এক দীর্ঘ অবহেলার শিকার হতে হতে সব অনুভূতি মরে যাওয়ার চিহ্ন?

অন্যদিকে, গ্রামের বেকার যুবকদের এই "সচেতনতা" কি শুধুই সামাজিক দায়িত্ববোধ, নাকি অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার এক বিকৃত আনন্দ? গাছের সাথে বেঁধে বিচার বসিয়ে কি সব সমস্যার সমাধান হয়? সম্মানহানি করে কি সম্মান ফেরানো যায়?

এই ঘটনাটি শুধু একজন নারী বা পুরুষের ব্যক্তিগত ভুলের গল্প নয়, এটি আমাদের সমাজের গভীর অসুখের প্রতিচ্ছবি। যেখানে সম্পর্কের মাঝে তৈরি হচ্ছে দূরত্ব, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাড়ছে মানসিক শূন্যতা, আর সমাজ সেই সুযোগে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।

সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হবে হয়তো সেই নারীর দুটি নিষ্পাপ শিশু, যারা হয়তো বুঝবেই না তাদের মায়ের এক মুহূর্তের ভুলের শাস্তি সমাজ কেন এমন নির্মমভাবে দিচ্ছে।

আসুন, অন্যের বিচার করার আগে নিজের সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হই। সঙ্গীকে সময় দিই, তার একাকীত্ব বোঝার চেষ্টা করি। মনে রাখবেন, একটি ভুল হয়তো একটি সাজানো সংসার, কিছু নিষ্পাপ ভবিষ্যৎ আর একজন মানুষের আজীবনের সম্মানকে চুরমার করে দিতে পারে।

সম্মান অমূল্য, একবার হারালে তা ফিরে পাওয়া বড় কঠিন।
(ফেসবুক থেকে পাওয়া)।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
রাকসু নির্বাচন: গানে, গম্ভীরায় ও সৃজনশীল লিফলেটে জমজমাট ক্যাম্পাস

রাকসু নির্বাচন: গানে, গম্ভীরায় ও সৃজনশীল লিফলেটে জমজমাট ক্যাম্পাস